নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়িতে কৃষি যন্ত্রপাতি এবং বিভিন্ন কর্মসূচিতে অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে এসআইডি-সিএইচটি শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এডিপিতে বরাদ্দকৃত জিওবি অর্থায়নে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে পরিষদ প্রাঙ্গণে এর আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণায়ের মন্ত্রী ও বান্দরবান সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসিং।
পার্বত্য মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সমাধান এবং উন্নয়নে যেই ওয়াদা করেছেন তা তিনি রেখেছেন। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২৪ বছরের সমস্যার সমাধান করেছেন শেখ হাসিনা। কাউকে আঘাত করে নয়, শুধুমাত্র আস্থা অর্জন ও ভালোবাসার মাধ্যমেই। চুক্তির অনেক ধারাই পূরণ হয়েছে, বাকী ধারাগুলোও বাস্তবায়ন হবে বলেছেন বীর বাহাদুর উশৈসিং।
পার্বত্য এলাকার মানুষ দেশের জন্য বোঝা হবে না, সম্পদশালী জনসম্পদ হবে-এমন দৃঢ় শপথ নেয়ার আহবান জানান। বীর বাহাদুর খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের প্রশংসা করে বলেন, ভবিষ্যতেও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে পরিষদ ধারাবাহিকতা রাখবে।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রæ চৌধুরী অপু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সেনা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহতাশিম হায়দার চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, অতীতের সব সরকারই পাকিস্তানি কায়দায় দেশ পরিচালনা করেছে। ফলে সংঘাত, নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে দেশের মানুষ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সফলতা দেখেনি। দেশের ইতিহাসে শেখ হাসিনাই প্রথম যিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন। যার কারণে পাহাড়-সমতল সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও কৃষিতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে খাগড়াছড়িতে। সোলারের মাধ্যমে দুর্গম এলাকাতে আলো জ¦লছে। এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী বানাতে জনগণের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রæ চৌধুরী অপু বলেন, সরকারের নির্দেশ মোতাবেক পার্বত্য জেলা পরিষদ কাজ করে যাচ্ছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নে পরিষদের ধারাবাহিকতা থাকবে। শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে পরিষদসহ হস্তান্তরিত সকল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহবান জানান চেয়ারম্যান।
পরে প্রকল্পের অধীন লাইফস্টক, ফিশারীজ, হোমস্টেড ও গার্ডেনিং, মিশ্রফল ও মৌচাষ, আইসিটি ডেভেলপমেন্ট বাস্তবায়নে ৩৯১ জন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি টাকার চেক তুলে দেন। একইসাথে কৃষকদের মাঝে ৪ (চার) কোটি টাকার বিভিন্ন রকমের কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করা হয়। এছাড়াও জেলা পরিষদের আপদকালীন ত্রাণ তহবিল থেকে ১৪৬ জনকে ৫৭ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন প্রধান অতিথিসহ অন্যরা।