জিয়াউল জিয়া ॥
বর্ষায় পাহাড় সাজে ভিন্ন রূপে। কোথাও মেঘের লুকোচুরি, কোথাও প্রকৃতির সতেজ রূপ। যেন মায়াবি ক্যানভাস। দিন কয়েকের বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরে পেয়েছে সুবলং, ধুপপানিসহ রাঙামাটির শত ঝর্ণা। সেই রূপ উপভোগ করতে ছুটে আসছেন নানা বয়সী মানুষ। এবার ঈদের ছুটিতে সেই চাপ বাড়বে কয়েকগুণ। সবুজ পাহাড়, দুরন্ত ঝর্ণার জলে গা ভেজাবেন পর্যটকরা। তাতেই যেন দুর হবে শহুরে জীবনের ক্লান্তি।
বর্ষায় পাহাড়ের প্রতিটি জলপ্রপাত প্রাণ ফিরে পায়, বিপুল জলপতনের আনন্দে হয়ে ওঠে উচ্ছল। এই বর্ষায় কোনো জলপ্রপাত দর্শনের পরিকল্পনা আপনিও করতে পারেন। শীতল হতে যেতে পারেন পাহাড়ের মাথা থেকে গড়িয়ে পড়া জলধারার নিচে।
ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের সেবা দিতে বাড়তি প্রস্তুতি চলছে সবখাতে। হোটেল মোটেল আর, কটেজে চলছে বুকিং। পর্যটকদের কাছে বাড়তি মনোযোগ পাচ্ছে প্রকৃতির কোলে গড়ে ওঠা ইকো কটেজ ও হাউজবোটগুলো। ইতোমধ্যে দেড় শতাধিক রিসোর্ট ও ৯টি হাউজ বোটের ৭০ শতাংশ বুকিং হয়ে গেছে। আর আগত পর্যটকদের ভ্রমণ নিরাপদ করতে প্রস্তুত ট্যুরিস্ট পুলিশও।
রাঙামাটি শহরের থেকে নিরিবিলি দ্বীপে সময় কাটাতে চাইলে রিসোর্ট থাকার সুযোগ থাকছে। আবাসনের ক্ষেত্রে পর্যটকদের পছন্দের তালিকা দখল করে নিয়েছে এসব ইকো কটেজ।
নীলাঞ্জনা বোট ক্লাব এর ম্যানেজার মিন্টু চাকমা জানান, ঈদ উপলক্ষে ২৭ জুন থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত রিসোর্ট ও হাইজ বোটে বুকিং চলছে ইতোমধ্যে অনেক রুম বুকিং হয়ে গেছে। আশা করছি মৌসুমটা ভালো কাটবে।
রাঙাদ্বীপ রিসোর্টের ম্যানেজার মো. আলমাস খান জানান, রাঙাদ্বীপের পূর্বাশয় এলাকায় ২২ টি রুম আছে, যারমধ্যে ঈদের দিন থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ৭০ ভাগ রুম বুকিং হয়ে গেছে। আশা করছি বাকি রুমও বুকিং হয়ে যাবে। আমরা পর্যটকদের বরণ করতে প্রস্তুত।
ট্যুরিস্ট পুলিশ, রাঙামাটি জোনের আস আই মো. আইয়ুব আলী বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্যাপক পর্যটক রাঙামাটি বেড়াতে আসবেন। পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশের প্রস্তুতির কথা জনান এই কর্মকর্তা।