ঞ্যোহ্লা মং
এনালগ যুগের ছাত্রছাত্রীদেরকে শিক্ষকদের সামনে হেঁটে যেতেও নানা চিন্তা করতে হতো। এখনকার সময়ের ছাত্রছাত্রীদের মতো রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিড়ি, সিগারেট টানার চিন্তা করা ছিল, অসম্ভব। আমাদের সময়ে দু’একজনের সিগারেট টানার অভ্যাস থাকলেও তারা তা করতো অতি গোপনে, দূরে এবং লুকিয়ে-লুকিয়ে। এখন লুকোচুরির কোনো কাজ-কাম নেই। প্রাইমারি স্কুলে পড়ুয়া ছাত্রকেও রাস্তায় দাঁড়িয়ে সিগারেট টানতে দেখা যায়। সমাজও ভালোভাবেই মেনে নিয়েছে। সমাজ এখন বখে যাওয়া ছাত্রছাত্রীদের দেখেও, না দেখার ভান করে চলে। সচেতন হিসেবে দাবি করা পরিবারগুলো, শুধু নিজের ছেলেমেয়েদের নিয়েই ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করেন।
ফেসবুকে সহপাঠী চিংথৈউ’র মোটর সাইকেলে শ্রদ্ধেয় গণেশ স্যারকে কোমড় চেপে ধরে বসে যেতে দেখে, স্যারদের নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর চিন্তা আসে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষকদের নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের নানা কার্যক্রমের দেখা মেলে। যেমন শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে কিংবা পুরনো সেই স্কুলে গিয়ে হাত পেতে বেতের বারি খাওয়ার অভিনয়, বিমানের পাইলট তাঁর নিজ শিক্ষককে যাএী হিসেবে পেয়ে ফুলের তোড়া দিয়ে অভ্যর্থনা জানিয়ে কোম্পানিটির প্রচার বাড়ানো, শিক্ষক দিবসে প্রিয় শিক্ষকের ছবি দিয়ে কিছু লেখা কিংবা নিজেদের কোনো শিক্ষকের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে উঠলে স্মার্ট ফেসবুক ব্যবহারকারি হিসেবে “বিনম্র শ্রদ্ধা” লেখা ইত্যাদি।
ছাত্রাবস্থায় আমাদের অনেকের দু’একজন শিক্ষকদের সঙ্গে বনভোজনে যাওয়ার অভিজ্ঞতা থাকতে পারে। কিন্তু স্যারদের জীবদ্দশায় কোথাও নিয়ে গিয়ে কিছুটা সময় ব্যয় করার, শিক্ষকদেরকে আমাদের মহামূল্যবান কিছু সময় দেওয়ার উদাহরণ সমাজে কম। আমরা ছাত্ররা শিক্ষকদের দেখলে বিনম্র শ্রদ্ধায় নত হই মাত্র, তাদের জন্য কিছুটা সময় ব্যয় করতে দেখা যায় কম। অনেক প্রতিষ্ঠিত ছাত্ররাও নানা কাজে সহায়তা করে থাকতে পারেন, কিন্তু সময় দিতে পারেন না।
এমন অভাববোধ থেকে “স্যারদের নিয়ে বেড়ানোর পরিকল্পনা হোক” শিরোনামে গত ২৫ আগষ্ট নিজের ফেসবুকে একটি লেখা প্রকাশ করি। পরে লেখাটি ‘দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রাম’ পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছিল বলে মনে আছে। লেখাটিতে ফোরামের উদ্যোগে মহালছড়ি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিয়ে একদিন ঘুরে বেড়ানোর ইচ্ছা পোষণ করি। গত ৮ ডিসেম্বর আমরা ক’জন মিলে সে স্বপ্ন কিছুটা পূরণের চেষ্টা চলে।
আগে যে স্যারদের দেখলে, ভয়ে দূরে দূরে থাকতাম, সে স্যারদের কাঁধে হাত তুলে ছবি তুলতে, হাত ধরে উঠতে-বসতে সহায়তা করতে, কোনো ভয় কাজ করেনি। স্যারদের স্পর্শ করতে পারাটি, নিজের কাছে গর্বের, আনন্দের, ভালোবাসার, মর্যাদার, সম্মানের মনে হয়েছে।
থলিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে, ছাত্র-শিক্ষক মিলে একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগিয়ে, দিনটি শুরু হয়। তারপর গাড়ি পথে সোজা মহালছড়ি থেকে রাঙ্গামাটি। পথে সুন্দর একটি জায়গায়, কয়েক প্রকারের পাহাড়ি পিঠা বিক্রি হতে দেখে, কিছুক্ষণ থামিয়েছি। রাঙ্গামাটি পৌঁছে দেখি, বনবিহার এলাকায় বয়স্ক স্যারদের নিয়ে ঠেলাঠেলি করে যাওয়া সম্ভব নয়। সেদিকে যাওয়া বাদ দিয়ে, নিয়ে গিয়েছি রাজবাড়ি দেখাতে। কিন্তু দিনটি ছিল শুক্রবার, ফলে মোগলদের থেকে ছিনিয়ে আনা চাকমা রাজার “ফতে খাঁ” কামানটি ছাড়া তেমন কিছুই দেখানোর সুযোগ হয়নি। ইচ্ছা ছিল রাজাবাবু’র সঙ্গে দেখা সাক্ষাতের একটি সুযোগ করে দেওয়ার। এ নিয়ে কয়েকদিন আগে থেকে যোগাযোগও করছিলাম। কিন্তু রাজাবাবু ঐ দিন পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করায়, সে সুযোগ করে নিতে পারিনি। জাদুঘরও দেখা হয়নি। রাজবাড়ি ঢুকবো তাতেও লেখা আছে, কুকুর হতে সাবধান। পরিচিত কাউকে, না পেয়ে শুধু বাইরে থেকে দেখে বোটে চড়ে রাঙ্গামাটি শহর দেখতে দেখতে একটা লম্বা ভ্রমণ করি, সেই বার্গী লেক ভ্যালী ঘাট পর্যন্ত।
লক্ষ্য করি, বন্ধুদের মাঝে যেন, এক নিরব প্রতিযোগিতা চলছিল- কে আগে গিয়ে, স্যারদের নানা প্রয়োজনে সহযোগিতা করতে পারে। স্যারদের উঠতে, বসতে, ওয়াশরুমে যেতে কে-কার আগে গিয়ে স্যারদের হাত ধরে নিয়ে যেতে পারে। কোনো স্যারকে একজন মাত্র ধরে নিয়ে যেতে দেখলে আরো একজন গিয়ে সহায়তা করছে। যেন এক একজন স্যারকে দুইজন করে ধরে নিয়ে যেতেই হবে!
হরি স্যার, ননী স্যার, গণেশ স্যারদের সাথে দেখা হয় না কমে ১৫-২০ বছর। তারপরও প্রথম দেখাতে জিজ্ঞেস করলাম, “স্যার, বলুন তো- আমার নাম কী?” স্যার বললেন, “ওঅড়া—- তুই —–।“ স্যাররা আমাদের প্রত্যেককে শুধু অবাক করেননি, আমরা আনন্দে অভিভূত হয়েছি। স্যাররা শুধু আমাদের চিনেন তা নয়, আমরা কে কাদের সন্তান তাও মনে রেখেছেন। কোথায় যেন পড়েছিলাম, একদিনের জন্য শিক্ষক হলেও, তিনি সারাজীবন শিক্ষক/স্যারই থাকেন। আমাদের স্যাররাও তাদের স্মৃতিশক্তি দিয়ে, এখনো আমাদেরকে তাদের ছাত্রই করে রাখলেন।
দেবী ম্যাডামের আন্তরিক ব্যবহার কোনোদিন ভুলবো না। ননী স্যারকে আমাদের সঙ্গে নিয়ে যেতে তাঁর আন্তরিক ইচ্ছাশক্তি দিয়ে আবারও কৃতজ্ঞতার বন্ধনে আবদ্ধ করলেন। গণেশ স্যারের পরিবার মাসিমা ম্যাডামকেও আমাদের খুব কাছের, অতি আপনজন মনে হয়েছে। তিনি আমাদের জন্য কেক সংগ্রহ করে এনে খাইয়েছেন। তিনিও আমাদের সকলকে চিনতে পেরেছিলেন, যা ছিল বাড়তি পাওনা। বুঝা গেলো, আমরা অনেকে নানা কারণে, নানাভাবে, স্যারদের হয়তো ভুলে থাকতে পারি, কিন্তু স্যাররা আমাদের ভুলেননি। আমরা কোন ব্যাচের, ঐ ব্যাচের নানা ঘটনা, ঐ সময়ে উপজেলা পর্যায়ে কোন কর্মকর্তা ছিলেন সবই মনে রেখেছেন।
বার্গী লেক ভ্যালী কর্মকর্তা সুমেত দাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তিনি আমাদের জন্য হল রুমটি ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছেন। হল রুমটি পাওয়ায় আমরা আমাদের অতীতের নানা মজার মজার ঘটনাগুলো বলে মন খুলে হাসতে পেরেছি। আমরা ছাত্র বন্ধুরা, একদিনের জন্য স্যারদের পেয়ে এত আপন ভাবতে শুরু করেছিলাম যে, কোন স্যার কতটা আমাদের মেরেছিলেন, শাস্তির ধরণ কেমন ছিল সামনা সামনি বলে হাসাহাসি করতে পেরেছি। সেদিনের শাস্তিটার জন্য রাগ-ক্ষোভের বদলে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি।
বার্গীর হল রুমটি পেয়ে আমাদের মোটামুটি একটা অনানুষ্ঠানিক সংক্ষিপ্ত আলোচনার পরিবেশ তৈরি হয়। ৯২ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, ফোরাম গঠন কিভাবে হলো, কি কাজ করছে, তুলে ধরল। দিলীপ মজা করে অতীতের নানা স্মৃতিচারণ করল। দেবর্ষি, ননী স্যারকে কেন মনে রেখেছেন, এবং ননী স্যারও কেন তাকে চিনবেন তা বলল। দেবর্ষি এখনো বিশ্বাস করে, সেই সময়ে-সেই শাস্তির প্রয়োজন ছিল। সে স্যারদের নিয়ে কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য উপভোগের পরিকল্পনা আর বাস্তবায়নও করলো।
ফোরামের সভাপতি বললো, ফোরামের সকল সদস্যই শুধু ছাত্র নন, একই সাথে স্যারদের সন্তান। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে সন্তানেরা সহযোগিতা করার সুযোগ পেলে প্রত্যেককে গর্বিতবোধ করবে। ফোরামের উপদেষ্টা সহপাঠী সোনা মনি চাকমা বললো, জন্মদাতা পিতার পরেই শিক্ষকগণ আমাদের অভিভাবক, আমাদের পিতৃতুল্য। যে ছাত্র তাঁর শিক্ষকের সঙ্গে বেয়াদবি করেছে, সে পদে পদে ধরা খেয়েছে। এমনি একজন ছাত্রের উদাহরণও দিলো।
অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্রদ্ধেয় শাহজাহান পাটোয়ারী স্যার তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে, খুব কম বয়সে বিদ্যালয়টির দায়িত্বগ্রহণ, বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা, বিদ্যালয়টির উন্নয়নে তাদের সংগ্রামে ননী স্যার, গণেশ স্যার, হরি স্যারদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞ চিত্তে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, “ফোরামের আজকের আয়োজনটুকু বাকী জীবনভর মনে রাখবেন”।
দুপুরের খাওয়া-দাওয়ার পরে স্যারদের মাঝে উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। উপহার সামগ্রীসব সংগ্রহ ও সহযোগিতা করে, ফোরামের উপদেষ্টা সোনা মনি চাকমা। উপহার সামগ্রী প্রদান পর্বটিতে এক আবেগঘণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। স্যাররা সোনা মনি সহ সকল সহযোগিকে প্রাণ ভরে আর্শীবাদ দেন।
এরপর শুরু হয় আমাদের ফটোসেশন। আমরা হল রুমসহ বাইরে বেশ কয়েকটি জায়গায় গ্রæপ ছবি তুলেছি। পরিকল্পনা আছে, গ্রæপ ছবিগুলো বাঁধাই করে স্যারদের কাছে সরবরাহ করার। বার্গী লেক ভ্যালী থেকে আমরা নতুন কাপ্তাই সড়ক হয়ে রাঙ্গামাটি ডিসি বাংলোতে “কোচপানা” আইল্যান্ডটি দেখার, সৌন্দর্য উপভোগ করারও সুযোগ পেয়েছি। সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী কর্তৃক এল এইচ নিবলেটের আবক্ষ মূর্তি স্থাপন দেখেছি। এইচ টি ইমামের স্মরণে একটি স্মৃতি সড়ক ফলকও পেয়েছি। “কোচপানা” ছাউনির নিচে দাঁড়িয়ে হেডস্যারকে বলতে শুনেছি, “জায়গাটি কতটা সুন্দর, ভাষায় ব্যক্ত করা যাবে না”।
রাঙ্গামাটিতে আরো কত জায়গা ছিল ঘুরার যেমন পলওয়েল পার্ক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কিন্তু সময় স্বল্পতায় খুব বেশিদূর ঢুকে দেখতে, উপভোগ করতে পারিনি। মূলত এখান থেকে আমরা আবার মহালছড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করি। হেডস্যারকে যখন নামিয়ে দিই তখন সন্ধ্যা প্রায়। স্যারকে সিঁড়ি বেয়ে বাড়ির দরজা পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে বলেন, “আমি দিব্যি চলে যেতে পারবো। কোনো সমস্যা নেই। তবে বলো, আজ যে আয়োজনটা করলে, এটা কার মাথা থেকে এসেছিল?” একে একে সকল স্যার/ম্যাডামকে বাড়ির কাছাকাছি পর্যন্ত বন্ধুরা পৌঁছে দিয়ে স্বপ্নের একটা দিন শেষ করে। ননী স্যার সচরাচর খুব একটা কথা বলেন না। নামিয়ে দেওয়ার সময় তিনিও এক বন্ধুর মাথায় হাত রেখে অনেক আর্শীবাদ করলেন।
হরি স্যার মহালছড়িতে একরাত থেকে পরের দিন সকালেই চলে যান, বাঁশখালীর উদ্দেশ্য। গাড়িতে তুলে দিতে গিয়ে অংশুমান যখন স্যারের পা স্পর্শ করে প্রণাম করছিল, স্যারের মনে কী কাজ করছিল, তা ছবি দেখে কিছুটা আন্দাজ করতে পারি।
ফোরামের সভাপতি হিসেবে আমি স্যারদের কাছে আর্শীবাদ চেয়েছি, যেন আগামী বছরও এমন হাসিখুশি আরো নানা আয়োজন নিয়ে মিলিত হতে পারি। স্যাররা আমাদের উদার চিত্তে আর্শীবাদ করলেন। আমরা সেই আর্শীবাদ নিয়ে আগামীতেও এমন আয়োজন করতে চাই।
সহপাঠী অংশগ্রহণকারী বন্ধুদের মধ্যে দেবর্ষি ফিরতে ফিরতে বলে, “বন্ধুরা এই আয়োজনে আমরা আমাদের পরিবারসহ সন্তানদেরকেও আনতে পারতাম, ভালো হতো। সন্তানরা আমাদের দেখাদেখি শিখতো, জানতো”। আর ফেসবুকে ছবি দেখে মহালছড়ির কৃতি সন্তান, বাংলাদেশের গর্ব বিজ্ঞানী ড. মংসানু মারমা মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, “মহালছড়ি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় অন্তত কয়েকজন ভালো মানুষ তৈরি করতে পেরেছে। আমি নিজেও ছবিগুলো দেখে আপ্লæত। ফোরাম-৯২ এর সকল সদস্যকে অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি।“ তিনি আরেক বন্ধুর পোস্টেও মন্তব্য করেছেন, লিখেছেন, “ আপনাদের দেখে অনেকেরই দায়িত্ববোধ জাগ্রত হবে। অনেকটা অবহেলিত, দেশে সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা শিক্ষকরা এভাবে ভালোবাসা পাক”।
শ্রদ্ধেয় মংসানু দা, যথার্থই বলেছেন। আমরাও চাই আমাদের শুধু গতানুগতিক লেখায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা দেখানোর বদলে স্যারদের জন্য নিজেদের কিছুটা সময় ব্যয় করুক। পাঠক হিসেবে আপনি যদি এতটুকু অনুপ্রাণিত হন, এতেই আমাদের স্বার্থকতা। স্যারদের নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর, স্যারদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ-খবর নেওয়ার, সাহস আসুক আমাদের প্রতিটি ছাত্রের। আমরা যদি শিক্ষকদের সত্যিকারের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা দেখাতে পারি, দিতে পারি সমাজ, দেশ ভালো শিক্ষক পেতে বাধ্য। কেবল ভালো শিক্ষকই ভালো ছাত্র, ভালো মানুষ তৈরি করতে পারে। পরিশেষে ভ্রমণটির আয়োজনে নানাভাবে সহায়তাকারী সহপাঠী সতীর্থ সোনা মনি, চিংথৈউ, জটিল বিন্দু, অংশুমান, দেবর্ষি, অজিত, রুপম, মোর্শেদ, সুবল, সেলিম, দিলীপ, সাজুসহ ছোট ভাই মিহির, বার্গী লেক ভ্যালীর সুমেতদাকেও ধন্যবাদ। আসুন, আমরা সবাই মিলে আরো সুন্দর সুন্দর কাজ করি। শেখার পরিসরকে বৃদ্ধি করি। সুন্দর সমাজ নির্মাণে এক ক্ষুদ্র বালুকনার ভূমিকা রাখি।
লেখক: ঞ্যোহ্লা মং, কলাম লেখক।