বিশেষ প্রতিবেদক, বান্দরবান ॥
বান্দরবান জেলায় দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী সরকারের আমলে মামলা-হামলা নির্যাতনের শিকার বিএনপির ৭৫০ জন নেতাকর্মীকে সম্মাননা ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাড়ে বারোটায় বান্দরবান হিলভিউ কনভেনশন হলরুমে জেলা বিএনপির আয়োজিত ক্রেস্ট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী জেলা বিএনপির আহবায়ক রাজপুত্র সাচিং প্রু জেরী।
অনুষ্ঠানে জেলার সাতটি উপজেলায় দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী সরকারের আমলে মামলা-হামলা নির্যাতনের শিকার হওয়া বিএনপির ৭৫০ জন নেতাকর্মীকে সম্মাননা ক্রেস্ট বিতরণ দেয়া হয়। তাদের মধ্যে অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়া ৫ নেতাকর্মীর মায়ের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী রাজপুত্র সাচিং প্রু জেরী।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নির্যাতিত জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক মো. ওসমান গনি, মুজিবুর রশীদ, আব্দুল মাবুদ, মশিউর রহমান মিঠুন, জাহাঙ্গীর আলম, আমির হোসেন আমু, বিএনপি নেতা নাছির উদ্দীন চৌধুরী, খামলাই ¤্রাে প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী জেলা বিএনপির আহবায়ক রাজপুত্র সাচিং প্রু জেরী বলেন, বিএনপি এখন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের নেতৃত্বে সারাদেশেই ঐক্যবদ্ধ। বিভাজন ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবেই ধানের শীষ প্রতীক বিজয়ী করে জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। আজ অত্যন্ত আনন্দের দিন, দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী সরকারের আমলে মামলা-হামলা নির্যাতনের শিকার হওয়া বিএনপির ৭৫০ জন নেতাকর্মীকে সম্মাননা আয়োজন করতে পেরেছি। ত্যাগীদের মূল্যায়ন কোনোভাবেই ভোলা যাবে না। আন্দোলনে জুলুম নির্যাতনের শিকার হওয়া নেতাকর্মীরাই হলো বিএনপির প্রাণ।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক মো. ওসমান গনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের মন্ত্রী জুলুম নির্যাতনকারী দুর্নীতিবাজ বীর বাহাদুর উশৈসিং এখনো বাসভবনে ঘুমাচ্ছেন। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন কেন আজও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি অদৃশ্য কারণটা জানতে চাই।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মশিউর রহমান মিঠুন বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর বান্দরবানবাসীর ওপরে নির্যাতন এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা-হামলাকারী ফ্যাসিস্ট সরকারের দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এর বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি এটি দুঃখজনক। ফ্যাসিস্ট সরকারের মন্ত্রী-এমপি কারাগারে এবং দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও বীর বাহাদুর উশৈসিং কোন ক্ষমতাবলে আজও বাসায় ঘুমাচ্ছেন।

