নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি ॥
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী বাজারে আগুন লেগে অন্তত আটটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে মশার কয়েল থেকেই আগুনের সুত্রপাত হয় বলে নিশ্চিত করেন বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল করিম বান্টু।
তিনি বলেন, বাইশারী বাজার হেফজখানা সংলগ্ন গ্যাস সিলিন্ডারের একটি দোকান থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়ে মুহূর্তের মধ্যেই চারিদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মসজিদের মাইকে আগুন লাগার খবর ঘোষণার সাথে সাথেই আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলেও আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। ততক্ষণে আগুনের লেলিহান শিখায় আটটি দোকান ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে নাইক্ষ্যংছড়ির ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে আগুন পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। এতে ক্ষতির পরিমাণ অন্তত অর্ধ কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম রুবেল বলেন, আগুনের সুত্রপাত হওয়া দোকানটিতে একই সাথে চাউল, গ্যাস সিলিন্ডার, এসিড, রাবার সিট এবং রাবারের বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করা হতো। বাজারের নৈশপ্রহরীদের তৎপরতায় আগুন বিস্তার করতে পারেনি।
ক্ষতিগ্রস্ত মুদি দোকান ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, দুইদিন আগেই ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে দোকানে মালামাল তোলা হয়েছে। দোকান এবং গুদাম ভর্তি মালামাল ছিল। বকেয়া টাকার খাতাও পুড়ে গেছে আগুনে। সব মিলিয়ে ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হতে পারে বলে জানান ওই ব্যবসায়ী।
তবে ভিন্নমত পোষণ করেন আরেক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন- রাতে দোকানে তার বাবা ছিল। মশার কয়েল তিনি রাখেননি। কেউ তার তার সাথে শত্রুতা করেছে। তার দোকানে চাউল, গ্যাস সিলিন্ডার, এসিড, রাবার সিট এবং রাবারের বিভিন্ন পণ্য ছিল বলে জানান তিনি।
তবে প্রত্যক্ষদর্শী স্টেশনের লাইনম্যান নুরুল হাকিম জানান, রাত দেড়টার দিকে ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিনের বাবার সাথে কথা বলে দোকানে থাকা মশার কয়েল নিভিয়ে দিতে বলি। পরে আমি চলে যায়। বাড়িতে পৌঁছার কিছুক্ষণ পর শুনি বাজারে আগুন লেগেছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মো. শাহিন বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। মূলত বিপুল পরিমাণ মজুদ রাখা গ্যাস সিলিন্ডারের কারণেই আগুন দ্রুত বিস্তার করে।
বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আনোয়ারুল হক জানান, অগ্নিকান্ডের বিষয়টি বাজার পরিচালনা কমিটি সহ খতিয়ে দেখা হবে।

