শংকর হোড়
পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে পার্বত্য শান্তি চুক্তির মৌলিক বিষয়ের অবাস্তবায়িত ধারাগুলো বাস্তবায়ন করা হবে বলে প্রতিশ্রæতি ব্যক্ত করেছেন ২৯৯ পার্বত্য রাঙামাটি সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী দীপংকর তালুকদার। তিনি বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নে আমরা প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। চুক্তির অধিকাংশ বাস্তবায়ন হলেও মৌলিক বিষয়গুলোর মধ্যে কয়েকটা ধারা এখনো অবাস্তবায়িত রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরকারী উভয় পক্ষের সদিচ্ছার ঐক্য ও সমন্বয় ঘটিয়ে ন্যূনতম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। একই সাথে পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও জানান। বৃহস্পতিবার সকালে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী দীপংকর তালুকদার এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের কথা বলেছি। পাহাড়ে চারটি সংগঠন রয়েছে। কোন সংগঠনকে আমরা নির্দিষ্ট করি বলি নাই, শুধু অমুক সংগঠনের কাছে অবৈধ অস্ত্র আছে, এমনকি আমাদের সংগঠনের কারো কাছে যদি অবৈধ অস্ত্র থাকে, তাহলে সেগুলোও উদ্ধার করা হোক। আমরা পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি দেখতে চাই না।
জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেন। ইশতেহারে তিনি শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, রেলপথ ও বিমান বন্দর স্থাপন, চার লেনের রাস্তা, স্থল বন্দর চালুর উদ্যোগ, পর্যটন উন্নয়নসহ ২১টি খাতে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানান।
দীপংকর তালুকদার বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর হতে অদ্যাবধি রাঙামাটি পার্বত্য জেলার জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল স¤প্রদায়ের শান্তি, স¤প্রীতি উন্নয়নের লক্ষ্যে আন্তরিকভাবে কাজ করে গেছেন। বিগত ১৫ বছর যাবৎ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শাসনামলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এরই ধারাবাহিকতায় রাঙামাটি জেলাতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠাসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বিদ্যুৎ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও যোগাযোগসহ নানাখাতে দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। তাই আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে জনসমর্থন এবং জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে পুনরায় নির্বাচিত হলে তাঁর লক্ষ্য অভিষ্ট রেখে এই জেলাকে সন্ত্রাসমুক্ত, শান্তি, স¤প্রীতি, উন্নত সমৃদ্ধ এবং স্মার্ট রাঙামাটি বিনির্মাণে তাঁর চলমান আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
এসময় রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান অংসুই প্রæ চৌধুরী, কো-চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মুছা মাতব্বর, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির সদস্য অভয় প্রকাশ চাকমা, দপ্তর সম্পাদক রফিক তালুকদারসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি জেলার একমাত্র সংসদীয় আসনে আওয়ামীলীগ প্রার্থীসহ তিনজন প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। বাকি দুজন হচ্ছেন বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের অমর কুমার দে ও তৃণমুল বিএনপির মো. মিজানুর রহমান।