শুভ্র মিশু
বাংলাদেশে টেকসই পর্যটনের জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের দায়বদ্ধতা নিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের আয়োজনে রাঙামাটিতে ফোকাস গ্রæপ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি বিধান ত্রিপুরার সভাপতিত্বে আয়োজিত ফোকাস গ্রæপ আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মো. আবু কালাম সিদ্দিক।
ফোকাস গ্রæপ আলোচনার বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন ট্যুরিস্ট পুলিশ হেড কোয়ায়াটার্স এর ট্রেনিং এন্ড ওরিয়েন্টেশন বিভাগের পুলিশ সুপার ইয়াছমিন খাতুন। বাংলাদেশের পর্যটকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে টেকসই পর্যটন নিশ্চিত করার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের চ্যালেঞ্জসমূহ খুঁজে বের করার জন্য গবেষণার অংশ হিসেবে অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে জরিপ পরিচালনা করা হয়।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, টেকসই পর্যটনের বিকাশে ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মপরিধি বাড়ানোর ওপর জোর দেন। পরিবেশবান্ধব দীর্ঘমেয়াদী টেকসই পর্যটন স্পট গঠনে সমন্বিত উদ্যোগের পাশাপাশি পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে ট্যুরিস্ট পুলিশের সংখ্যা বাড়ানোর তাগিদ দেয়া হয়।
এতে রাঙামাটির পর্যটন সংশ্লিষ্ট ও ব্যবসায়ীরা রাঙামাটিতে পর্যটক বাড়াতে গেলে পর্যটন স্পটগুলোর নিরাপত্তা, হ্রদের জলে ঝুলন্ত সেতু ডুবে থাকা, উন্নয়ন, নিরাপদ সড়ক ও পরিবহন খাতে পর্যটক হয়রানি বন্ধ, পর্যটকদের জন্য পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থাসহ পর্যটনখাতের নানা প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরেন। এই সব প্রতিবন্ধতা উত্তরণে বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ কর্মকর্তারা ও জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার আলোচনা অংশ নেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, পর্যটন ঝুলন্ত সেতুর বিষয়ে আমি লিখেছি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই সেতুর উন্নয়নে পর্যটন মন্ত্রণালয়কে নিদের্শনা দিয়েছেন এবং কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে বিষয়েও জানাতে বলেছেন। পাবলিক টয়লেটে বিষয়ে তিনি বলেন- পর্যটকদের জন্য পাবলিক টয়লেট তৈরি করে দেওয়া কোন বিষয় না, কিন্তু জায়গা পাওয়াটায় সমস্যা। জায়গার ব্যবস্থা হলেই পাবলিক টয়লেট তৈরি করা হবে। এছাড়াও পর্যটকদের জন্য লকারের ব্যবস্থা করার প্ল্যানও রয়েছে।
নিরাপত্তার কারণে পর্যটকরা সুবলং এর পরে আর যেতে পারে না বলে হতাশাও প্রকাশ করেন। ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মো. আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, টেকসই পর্যটন শিল্প বিকাশে পর্যটকদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে এবং সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগতাদের পর্যটন বিকাশে কাজ করতে হবে এবং সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে পর্যটন বিকাশের সকল প্রতিবন্ধতা দূর করা সম্ভব হবে।
রাঙামাটিতে পর্যটন বিকাশের নানা প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণ নিয়ে আলোচনা করেন রাঙামাটির প্রেসক্লাব সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেলসহ পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ। এফজিডি উপস্থাপনা করেন বশেমুরবিপ্রবি এর সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আনিসুর রহমান।
এতে রাঙামাটি ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাসান ইকবাল চৌধুরীসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।